গল্পঃ ঘেমোঘরে আলোহীন
ক্যাম্পাসে যে মেসটায় আমরা থাকি সেখানে আলো বাতাসের কোনো প্রবেশাধিকার নেই। থাকি গ্রাউন্ড ফ্লোরে, সামনের অংশজুড়ে পুরোটা গ্যারেজ। সারাদিন শহর দাপিয়ে এসে গাড়িগুলো রাতে এখানে আশ্রয় নেয়। ওদের তখন দেখলে মনে হয় লাইব্রেরীর ঘুমন্ত বই। সারাদিনের রাস্তার কোলাহল নিজের মধ্যে জড়ো করে শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে থাকে রাত্রিজুড়ে। গ্যারেজটা পেরিয়ে সামনে গেলেই বাড়ির মূল গেট। সেদিকে তাকালে উজ্জ্বল আলো দেখা যায়, কিন্তু সে আলো গ্যারেজ পেরিয়ে ঘরে প্রবেশ করতে পারেনা। আমার রুমে জানলার পাশে বসে সেদিকে তাকালে মনে হয় সেটা গুহার মুখ, আর আমরা কজন গুহাবাসী। ঘরের ক্রীম কালারের দেয়ালটা যেনো গুহার দেয়াল, এখুনি বোধহয় সেখানে আঁকতে শুরু করে দেবো গুহাচিত্র। কিন্তু আমাদের কিছুই করা হয়না-ঘরের ভেতরের অন্ধকার আমাদের সিঁধিয়ে রাখে। অন্ধকারাচ্ছন্ন এ ঘরে আমাদের শরীরগুলো যেনো কোনো জড় পদার্থ, আলাদাভাবে একে চিহ্নিত করা যায়না। যেনো ঘন কালো আঁধারের একেকটা পুটলি মটকা মেরে পড়ে থাকে রুমের কোণে। সেখান থেকে তাকিয়ে থাকি সিলিং এর দিকে। রুমের অন্ধকার আর আমাদের ভেতরের অন্ধকার মিলেমিশে ধোঁয়ার কুন্ডলীর মতো উপরের দিকে উঠে গিয়ে সিলিংয়ে নানারকম নকশা ...
